শরিফুল ইসলাম শরিফের
“কাজল কালো আঁখি”

“কাজল কালো আঁখি”
-শরীফুল ইসলাম শরীফ-
চোখের তীর বিদ্ধ করে মনের আকাশ অক্ষে,
অরুণ পক্ষ হাসিয়া আসিলো অন্ধকার বক্ষে।
ও মন তুমি আকাশ পানে কি দেখিতে পাও?
মাটিতে যে পুষ্প ফোঁটে একবার ফিরে চাও।
শুভ্র এবং স্বচ্ছ জলে তোমার কালো চোখ,
অমানিশার ঘোর অন্ধকার কৃষ্ণ কালো মেঘ।
স্ফটিক জলে তলদেশে অজস্র সব নুড়ি,
অঞ্জলি ভরা হিরা পান্না আরও কত কি!
কালো সাদা প্রজাপতি আনন্দে মাখামাখি,
ইচ্ছে করে আবেশে তোমার ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখি।
কাজল কালো আঁখির পিছে ঘন কালো চুল,
চুলের সাথে শুয়ে ছিলো সাদা বেলী ফুল।
বক পালকে জড়িয়ে আছে শুভ্র দেহ মন,
কাক পালকে বিছিয়ে আছে ভ্রু দুটি যুগল।
মুক্তমাখা হাসি তোমার অট্টালিকা ফাঁটে,
চোখে কাজল মেখে তোমার কাল বৈশাখী হাসে।
কাশবনেতে ফুঁটছে ফুল জগৎ আলো করে,
কেমন করে হাঁটো তুমি কলিজাতে লাগে।
তোমার হাসি জগৎ ভাসি একূল ওকূল হাসে,
গালে টোল পিঁড়া দেয় গো মনের অজান্তে।
রক্তিম তোমার ঠোঁট জোড়া যে কমলা লেবুর কোয়া,
তার সাথে পাল্লা দিয়ে ধনুক টানা যুগল ভ্রু জোড়া।
রঙের আলোয় পৃথিবীতে সুক্ষ্ম সুন্দর মন,
চোখের পাঁপড়ী নাড়ায় বুঝি বৃষ্টি টলমল।
কবি’র মন অস্থির বটে, অক্ষিতে অস্রু সঞ্চার ঘটে,
রাত বিরাতে অহর্নিশি জেগে থাকে তৃষি,
গীরিধারি বাঁকা তার ছড়ায় ছড়ায় কালোজল-
কৃষ্ণকালো কুচলা তলে ডুবলো আঁখি জল।
স্নিগ্ধ শ্যামা বেনী দুলে লাজুক পাপিয়া হেলেদুলে
রহি রহি চুলের গন্ধ ভেসে আসে ক্ষনে ক্ষনে।
হিমেল বাতাসে সুবাস ছড়িয়ে ভেসে আসে নাকে কানে।
শিহরণ জাগে দিনে রাতে ঝড়ের পাখির প্রনয় প্রানে।
বক্ষ সমুজ্জ্বল চির-হরিৎ এক পশলা বৃষ্টি চিবুক।
রাত্রি শেষে যাত্রী তোমার নরাধম আমার কচি বুক।