এসএসসি ০২ব্যাচের উদ্যোগে প্রবাসী বন্ধুদের সংবর্ধনা।

এসো মিলি প্রাণের টানে ফিরে যাই শৈশবে মেতে উঠি উৎসবে আয় বন্ধু সবে মিলি এই প্রাণের উৎসবে এই শ্লোগানকে সামনে রেখে এসএসসি ২০০২ ব্যাচ বাংলাদেশ বন্ধুদের সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও ০২ প্রবাসী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বর্ণাঢ্য আয়োজনে উৎসব মুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল (০৯ জুন) শুক্রবার দুপুর ৩টায় জাতীয় জাদুঘর,শাহবাগ,কবি সুফিয়া কামাল হলে প্রথমে কোরআন তেলোয়াত এর পর জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশেনর মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।

এরপর গ্রুপের প্রয়াত বন্ধুদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন,এসএসএসসি-২০০২ ব্যাচের বন্ধু ওয়ানম্যান আর্মি নামে খ্যাত তরুন ব্যবসায়ী ও সংগঠক ফাউন্ডার এডমিন মাহমুদ হাসান সুমন। তিনি বলেন ০২ নিজস্ব ১০ তলা ভবন,০২ ক্লাব , ০২ এমবুলেন্স,০২ সমিতি সহ অসংখ্য মানবিক কাজ নিয়ে দূর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে ০২ ব্যাচ। সবাইকে পাশে থাকার প্রত্যায় ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন,এসএসসি ব্যাচের মডারেটর শামীম হাসান চৌধুরী।

বন্ধুদের এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ২০০২ ব্যাচের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রিয় বন্ধুদের সাথে মিলিত হতে পেরে বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন বন্ধুরা।

ফটোসেশন,১২ জন প্রবাসী বন্ধুকে সম্মাননা ক্রেস্ট বিতরণ,এছাড়া ও নিজেদের সুখ-দুঃখের গল্পে মেতে উঠেন বন্ধুরা।

শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন জেলা থেকে আগত বন্ধুরা।

সবার ব্যস্ততার মধ্যেও যেন একই প্লাটফর্মে থাকতে পারি,একে অন্যের পাশে দাড়াতে পারি,সেই উদ্যোগে ২০০২ ব্যাচের বন্ধু-বান্ধবীদের নিয়ে একটি অনলাইন গ্রুপ খোলা হয়েছে। যেখানে এখন বন্ধু-বান্ধবের সংখ্যা আঠারো হাজার প্রায়।

শুধু দেশে নয় সারাবিশ্বে ২০০২ ব্যাচের ছড়ানো ছিটানো বন্ধু-বান্ধব একি প্লাটফর্মে থাকার জন্য এই পরিকল্পনা।
এ যেন এক অভূতপূর্ব প্রাণের মিলন মেলা।

বিকেল ৩,থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত জনপ্রিয় কন্ঠ শিল্পীদের সমন্বয়ে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন- সারা বাংলাদেশের এসএসসি ব্যাচ ২০০২ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।

এই বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনে যোগদানকৃত সকল বন্ধু এমন সুন্দর আয়োজনের জন্য যারা এ আয়োজনে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের সকলের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং সকল কর্মকান্ডে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন,প্রতি বছর যেনো এই ধারা অব্যাহত রাখা যায় সেই মানসিকতা নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
আমাদের এ বন্ধুত্বের বন্ধনের এ পথচলা অব্যাহত থাকবে।

২০০২ থেকে এ পর্যন্ত কেটে গেছে ২১ বছর।
এই দীর্ঘসময়ে এসব শিক্ষার্থীদের একেকজন নানা পেশায় চলে গেছেন।
কেউ দেশে আছেন,কেউ বিদেশ আছেন।
তবে গত কয়েক বছরের ব্যবধানে সারা দেশের একে অপরকে চেনা বা অচেনা এই দামাল তরুণেরা ফেসবুকের মাধ্যমে এক হয়ে উদযাপন করছেন বন্ধুত্বের বন্ধন।

স্রেফ আনন্দই নয়,বাস্তবে সামাজিক নানান দায়িত্বও তারা পালন করছেন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে।
এবং সারাজীবন কাটিয়ে দেয়ার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে যাবে বলে প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেন সবাই।

Facebook Comments Box
আরো পড়ুন