স্বীকৃতি বিশ্বাসঃ
বাংলাদেশের দক্ষিণ- পশ্চিমের সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর,আশাশুনি,তালা,কয়রাসহ কয়েকটি উপজেলা চলমান ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বুধবার ভোর থেকে দমকা বাতাসসহ ঝড়ো হওয়া বইছে এবং সাথে সাথে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। ইয়াস ও চলমান পূর্ণিমার জন্য নদী ও সমূদ্রের পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩/৪ ফুট উপরে দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় কয়েকটি স্থানের বেড়িবাঁধ ভেঙে সমূদ্রের নোনাপানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে।এর মধ্যে শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা,কৈখালী, মুন্সিগঞ্জ,পদ্মপুকুর ও বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের ১৫ স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি জনগণের বাড়িঘরে ঢুকে পড়েছে। এছাড়া, কপিলমুনি,তালা ও কয়রার অনেক জায়গায় জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে গেছে।তবে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ ও ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে সাতক্ষীরা, আশাশুনি ও শ্যামনগরের ৫৫ টি স্থানকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বুধবার সকাল ০৭ টা থেকে শুরু করে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত জোয়ার থাকায় এবং গতবারের ঘূর্ণিঝড়ের পর বাঁধের অনেক জায়গায় সংস্কার না হওয়ায় এবারের জলোচ্ছ্বাসে সাতক্ষীরা জেলার উপকূলবর্তী গ্রামগুলিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছে স্থানীয় জনগণ।
এসব এলাকার স্থানীয় জনগণ নিজেদের রক্ষা করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাতদিন বেড়িবাঁধ সংস্কারের কাজ করছেন।
সাতক্ষীরায় ১৪৫ টি আশ্রয় কেন্দ্র ও ১ হাজার ৫ শত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে মানুষের আশ্রয়ের জন্য।
এর মধ্যে শ্যামনগর উপজেলার ১০৩ টি আশ্রয়কেন্দ্রের ধারণ ক্ষমতা ৭৫ হাজার বলে জানিয়েছেন শ্যামনগর উপজেলার নির্বাহী অফিসার আ ন ম আবু জার গিফারি।
কিন্তু ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে গুলি পূর্ব থেকে প্রস্তুত রাখা ও মাইকিং করা হলেও সাধারণ জনগণ বাড়ি ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে উঠছে না।