নারী এক অদম্য শক্তি, কখনো মেয়ে থেকে বউ,বউ থেকে মা,থেকে দাদি,নানি হয়ে উঠে।
আমাদের সমজে আজ নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা অনেক হয়ে উঠেছে,নারীরা আজ পুরুষের পাশাপাশি নিজেরাও সাবলম্ভি হয়ে উঠছে, তেমনি এক সাহসী উদ্যোক্তার নাম পপি।
বিয়ের পরে স্বামীকে সহায়তা করতে একটি কিন্টারগার্ডেন স্কুলে শিক্ষাগতা করতেন, পরিবারে এলো নতুন অতিথি, ফুটফুটে একটি পুত্র সন্তান, স্বামীর ব্যাবসায়ীক অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে একটা সময় ব্যাবসা বন্ধ হয়ে যায়।
পপি চিন্তিত হয়ে পড়ে তার আগত সন্তান ও পরিবার নিয়ে,শিক্ষাগত পেশা দিয়ে পরিবার চালানো, বাচ্চাকে দেখাশোনা অনেক কস্ট হয়ে উঠছে,, একটা সময় স্বামীর সাথে হয়ে যায় ছাড়াছাড়ি,তবুও পপি হার মানেন নি,ব্যাংকে একটা চাকরির মাধ্যমে সংসার চালাতে লাগলো,এক একটা বাসা ভাড়া করে ঢাকা শহরে সন্তান নিয়ে পথ চলা তার শুরু।
কিন্তু চাকরির কারনে সন্তান মায়ের ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়ছে,এই জিনিসটা পপিকে ভাবিয়ে তুললো,ছেড়ে দিলো চাকরি, কারন তার জীবনের চলার পথে এক মুল্যবান সম্পদ এবং একমাত্র বেচে থাকার অবলম্বন তার ছেলে শোভন।
বেশ কিছুদিন পরে এক বন্ধুর সহায়তায় মাত্র ২০,০০০ টাকা পুজি নিয়ে অনলাইনে ব্যাবসা শুরু করলো সে।
ছেলেকে দেখাশুনা, রান্নাবান্না, অনলাইনে সময় দিতে দিতে হাফিয়ে উঠছে সে, ঢাকাতে তার আরো ২ভাই তারই পার্শ্ববর্তী এলাকায় বসবাস করলেও তার খোঁজ রাখেনা কেউ।
কারন তার যে হাত ভরা টাকা আর সম্পদ নেই, অর্থের কারনে পরিবারের লোকজন ও মুখ ফিরিয়ে নেয়।
তবুও সে থেমে থাকেনি, গুটিকয়েক প্রোডাক্ট নিয়ে শুরু করে ব্যাবসায়ীক পথচলা।
এর মধ্যেই চলে আসে কোভিডের আক্রমণ, সেই সময় আল্লাহর অশেষ রহমতে রমজান মাসে পপির ব্যাবসা ভালোই চলে এবং জনপ্রিয় একটি পেইজ হয়ে উঠে তার স্টাইল ফ্রিক্স নামে।
সেই থেকে এই অব্দি ছেলেটাকে নিয়ে অনলাইনে ব্যাবসা শুরু করে ভালোই কাটছে তার দিন, সন্তানকে একটি ভালো স্কুলে ভর্তি করায়, প্রাইভেট টিচার রাখে।
সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে সব কষ্ট নিজের কাধে নিয়েই বেড়ায় সে,কারন সে যে একজন মা
আল্লাহর রহমতে এখন তার ব্যাবসায়ীক পুজি ৫লাখের কাছাকাছি হয়ে গেছে, সময়ও ঘুড়ে দাড়িয়েছে বকে প্রতিদিন বাংলাদেশের প্রতিবেদককে জানান পপি।
এভাবেই এই সমাজে জীবন যুদ্ধে বেচে থাকে অসংখ্য পপিরা।
পপির ব্যাবসায়ীক পেইজ লিংকটি দেয়া হলো।
https://www.facebook.com/StylePrix/